রাখাইনে সমুদ্র বন্দর-অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে চুক্তি করছে চীন

২০০৯ সালের পর দুই দিনের সফরে প্রথমবারের মতো আজ (শুক্রবার) মিয়ানমার পৌঁছেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এই সফরের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে চীনের বিনিয়োগ জোরদার হবে।

বিশেষ করে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এর সংযোগস্থল সংঘাত-বিধ্বস্ত রাখাইনে চীনের বিনিয়োগ জোরদার হবে বলে জানায় আলজাজিরা।

মিয়ানমারের বাণিজ্য উপমন্ত্রী অং হতু শি’র সফরের আগে সাংবাদিকদের বলেন, সফরে রাখাইনে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ১৩০ কোটি ডলার ব্যয়ে সমুদ্রবন্দর নির্মাণের চুক্তি সই করবেন চীনা প্রেসিডেন্ট।

গত ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনা ও মিলিশিয়ারা নৃশংস সামরিক অভিযান শুরু করে। হত্যা, গণহত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

স্টিমসন সেন্টারের চীনা প্রোগ্রাম-এর পরিচালক ইউন সান বলেন, ‘শি ২০১৩ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর মিয়ানমার ছাড়া আসিয়ানভুক্ত সব দেশ সফর করেন।’

দুই দিনের এই সফরে শি মিয়ানমার প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট, স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি এবং দেশটির কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেয়িং-এর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের সব ফোরামে মিয়ানমারের পক্ষে ভোট দিয়ে আসছে চীন ও রাশিয়া। নিরাপত্তা পরিষদেও একাধিকবার এ সংক্রান্ত উদ্যোগে ভেটো দিয়েছে দেশ দুটি। এই ইস্যুতে ভোটদানে বিরত থেকে কার্যত মিয়ানমারকে সমর্থন দিয়ে আসছে ভারতও।

 

 

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন